নিজস্ব প্রতিনিধি: যশোরের মণিরামপুরে একটি ক্যাফে খাবার খেতে এসে ছাত্র শিবিরের নয় নেতা কর্মী পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলেরহাট-রাজগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত কাশবন ক্যাফে থেকে থানা পুলিশ তাদের আটক করে। খবারের ছলে বৈঠকের জন্য আজ সন্ধ্যায় তারা সেখানে মিলিত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

আটক নয় জনের মধ্যে পাঁচ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন রোহিতা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল আলীম, গাঙ্গুলিয়া গ্রামের মাহফুজুর রহমান, খেদাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আজম, রাজবাড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও বসন্তপুর গ্রামের মমিনুর রহমান।

শিবিরের নয় নেতাকর্মীকে আটকের বিষয়ে উপস্থিত পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে নিজেদের নয় নেতাকর্মীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রোহিতা ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামের সাবেক আমির মুজাহার আলী।

কাশবন ক্যাফের ব্যবস্থাপক সাকিব হোসেন বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় পরিবার নিয়ে ক্যাফে আসেন মনিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান। তিনি এসে খাবার অর্ডার করেন। এরমধ্যে নয়জন এসে খাবারের অর্ডার করে ক্যাফের ছাদে গিয়ে বসেন। তাঁদের খাবার পরিবেশন করার আগেই খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পসহ থানার কয়েকজন পুলিশ ক্যাফে আসেন। এরপর ছাদে গিয়ে ওই নয় জনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। এরমধ্যে ওসি চলে যান। কিছুক্ষণ পর গাড়ি নিয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান আসেন। তিনি এসে নয় জনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান।’

অভিযানে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আটক নয় জন বৈঠক করার জন্য ক্যাফে জড়ো হয়েছিল। তাঁদের ব্যবহৃত মোবাইল ঘেটে বৈঠক আহবানের বিষয়টি জানা গেছে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা নয় জনের মোবাইল হেফাজতে নিয়েছি। সেখানে দেখা গেছে ক্ষুদে বার্তা দিয়ে নয় জন একত্র হয়েছে। আজ সন্ধ্যার আগে কাশবন ক্যাফে তাঁদের জড়ো হওয়ার জন্য বার্তায় বলা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, আমরা যাওয়ার আগে ওসি স্যার কাশবন ক্যাফে ছিলেন। তিনি আগেই বৈঠকের বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

অভিযানে অংশ নেওয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পরে জানাতে পারব।’ পরে আবার একাধিকবার তাকে কল করা হয়। তিনি ফোন ধরেননি।